টুক করে ঘুরে আসিঃ মাগুরমারি ইকো রিসর্ট

 

 

মাগুরমারী ইকো রিসর্ট

সত্যম ভট্টাচার্য

 

একই নামে কত জায়গা তো থাকতেই পারে কিন্তু তাতে কি স্থান মাহাত্ম্যের গায়ে কোন আঁচড় লাগে? যেমন ধরা যাক খুব পরিচিত এরকম একটি নাম কদমতলা। কদমতলা ডুয়ার্সের বহু জায়গাতেই আছে। কিন্তু তাতে কি জলপাইগুড়ি শহরের কেন্দ্রস্থল কদমতলার কৌলিন্যে কোনরকম আঘাত লেগেছে? সে তো তার জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলের তকমা নিয়ে স্বমহিমায় বিরাজ করছে।

ঠিক সেরকমই ডুয়ার্সের বহুল পরিচিত একটি নাম মাগুরমারী। মাগুরমারী নামে ডুয়ার্সে বহু জায়গা আছে। কিন্তু আপনি যদি খোঁজে থাকেন সেই মাগুরমারীর যেখানে একটি অতি মনোরম ইকো রিসর্ট আছে তাহলে সেই মাগুরমারীকে অতি সহজেই চিনে নিতে পারবেন। তাই কদমতলার মতোই মাগুরমারী ইকো রিসর্ট জায়গাটি স্বমহিমাতেই বিরাজ করছে।

তবে খুব মনে পড়ে সেদিনটির কথা যেদিন বহু চেষ্টাতেও মাগুরমারী ইকো রিসর্টে পৌঁছতে পারিনি। জানতাম ক্রান্তি থেকে যে রাস্তাটি কাঠামবাড়ি ফরেস্টের মধ্য দিয়ে তারঘেরা হয়ে ওদলাবাড়ির দিকে যাচ্ছে সেখানেই কোথাও মাগুরমারী। জুন মাসের কোন এক বিকেলে যখন দোমহিনীর পলাশ মোড় হয়ে ক্রান্তির দিকে এগোচ্ছি আকাশ কালো করে ঝড় আসলো। আর তার সাথেই বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। প্রায় দু ঘন্টা একটি ছোট্ট দোকানে আটকে থাকার পর বৃষ্টি যখন একটু ধরলো বের হলাম। কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গাতে পৌঁছে দেখি কোন লোকজন সেখানে নেই। কাকে কি জিজ্ঞেস করবো। সেই জঙ্গল বেয়ে নেমে আসা বিকেলের অল্প আলোয় গাঢ় সবুজ কাঠামবাড়ি ফরেস্টের মধ্য দিয়ে দু চারবার চক্কর মেরে মাগুরমারী ইকো রিসর্ট খুঁজে পেলাম না। তবে আহা বৃষ্টি ভেজা অরণ্যের সে কি রূপ দেখলাম। ভিজতে ভিজতে গজলডোবা হয়ে বাড়ি ফিরলাম। সেদিনই ঠিক করেছিলাম খুব শিগগীর মাগুরমারী ইকো রিসর্ট খুঁজে বের করবো। 

এখানে স্বচ্ছন্দে থাকা যায়
 

তাই কদিন পরই আবার বের হলাম শহরের কবি বন্ধু রঙ্গন রায়কে নিয়ে মাগুরমারী ইকো রিসর্টের খোঁজে। তখন ঋতুরাজ সদ্য সদ্য আশ্বিনের ঘরে পা রেখেছে। মেঘমুক্ত আকাশ, দূরে ঝকঝক করছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে সেদিন আর লোকজন পেতে অসুবিধা হয়নি। গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কৈলাশপুর চা বাগানের রাস্তা। আর সেই রাস্তা ধরে গেলেই মিলবে মাগুরমারী ইকো রিসর্ট। চমৎকার জায়গা। সামনে ধানক্ষেত, দূরে চা বাগান, পাহাড়। কেয়ারটেকার আছে দেখা শোনা বা খাওয়াদাওয়া করলে রান্নাবান্না করে দেবার জন্য। তবে তার জন্য আগে থেকে দেবাশীষবাবুর নম্বরে যোগাযোগ করে নিতে হবে।

নম্বর- 9434072552/9932317299        

ফোটোঃ লেখক

সূচীপত্রে যাওয়ার সূত্র 

 

Comments

Popular posts from this blog

টাউন বাজারৎঃ বাজার বেদনা। নিঝুম ঠাকুর

সান্ধ্য জলপাইগুড়ি ১১ জুন, ২০২২ঃ সূচীপত্র

ছবিতে নারী এবং নারীর ছবি। নবম পর্বঃ শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়