টাউনলভ্যভোজ্যঃ দই ফুচকা
দই ফুচকা
শ্রীমতি ইডলি রসরাজ
আহা রাত! হুতোম কি তাকে কখনো নিশিবাসর বলে ডেকেছেন? এই যে দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে, কত কিছুই তো পালটে যায় তার সাথে সাথে। পালটায় মানুষের মন, দেখা। চোখ ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে আরো মোহময়ী। রাত যত বাড়ে নেশার যেন ঘোর লেগে আসে। তখন পাল্টাতে থাকে কথা, কথার সহযোগী তরল। তাতে কে না বুঁদ হতে চায়।
তবে তওবা তওবা। আমরা এতদূর এগোবো না। আমরা তো জাস্ট এসব জানি বলে একটু ইনফর্মেশন দিয়ে রাখলাম। আমরা তো এখন শুধু বেরিয়েছি বৌ এর সাথে। এই একটু ছোটোখাটো কাজকম্ম। এটা সেটা কেনা। সন্ধ্যের শহরকে একচক্কর ঘুরে দেখা। আর তারপর যা করতে হয় বৈকি।
কি করতে হয়? আরে মশায়, তাও জানেন না। বৌকে খুশি করতে হয়। আর খুশি করতে গেলেই খাওয়াতে হবে ফুচকা-তেলেভাজা ইত্যাদি। তবে যদি এসব আইটেম খাওয়াতে খাওয়াতে বা খেয়ে খেয়ে বৌদিমণি বোর হয়ে গিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই চলে আসুন পি সি শর্মা মোড়ে। আর প্রসিদ্ধ সাইকেলের দোকানের পাশের তেলেভাজার দোকানটির থেকে চেয়ে নিন একপ্লেট দই ফুচকা। কথা দিতে পারি নিরাশ হবেন না বা টাকা জলে যাবে না। তবে এরপর যদি এই জিনিসের নেশা লেগে যায় তবে কিন্তু কাইন্ডলি দোষারোপ করবেন না। পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কোন দায় নেই।
আর হ্যাঁ, খাবার অর্ডার করার পর প্রথম কদিন মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকবেন না। পরে দেখবেন। দেখার তো জিনিস অনেক বটেই। তবে প্রথম কদিন দেখুন কি পরম মমতায় একের পর এক জিনিস দিয়ে রেডি হচ্ছে সেই বস্তু যা আপনি খানিক পরেই আঙুল চুষে, পারলে প্লেট চেটে উপভোগ করবেন।
ছটি ফুচকা সাজানো হবে কাগজের প্লেটে। তারপর তাতে দই, চাটনি এবং বিবিধ মশলা ও সবশেষে ওপরে ছড়িয়ে দেওয়া ঝুরিভাজা সহযোগে যে জিনিসটি আপনার সামনে দোকানি তুলে ধরবেন আশা করা যায় তা আপনাকে আশাহত করবে না।
আর শীতকালে যদি আপনার বেগুনীজাতীয় তেলেভাজার ওপর খানিক দুর্বলতা থেকে থাকে তার জন্যও আপনি এই চারচাকার দোকানটিতে ঢুঁ মারতে পারেন।
ফোটোঃ সত্যম ভট্টাচার্য
Comments
Post a Comment